ভিটামিন ডি-র প্রয়োজনীতা

 ভিটামিন ডি

দেহে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কম থাকলে ক্যানসার, হূদেরাগসহ নানা জটিল রোগ হতে পারে। আমাদের দেশে ভিটামিন ডি নিয়ে কেউ খুব বেশি মাথা ঘামায় না। কারণ, একটু পুষ্টিকর খাবার খেলে আর রোদে চলাফেরা করলে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি শরীরে তৈরি হয়। ভিটামিন ডি-কে বলা হয় ‘সৌরপুষ্টি’। কিন্তু বিলেত-আমেরিকায় বেশি রোদ পাওয়া যায় না। তাই ভিটামিন ডি-এর জন্য রোদ পোহাতে হয়। এ জন্যই গ্রীষ্মকালে সাগরপারে তাঁরা রোদ পোহান। নিউইয়র্ক টাইমস-এর (৬ এপ্রিল, ২০১৪) তথ্য অনুযায়ী, সামান্য মাছ-ভাত-ডিম খেলে আর গায়ে রোদ লাগালে এই ভিটামিন শরীর তৈরি করে নেয়।

 ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম সংশ্লেষণে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধব্যবস্থায় ক্যালসিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ধারণা করা হয়, প্রয়োজনীয় মাত্রায় ভিটামিন ডি-এর উপস্থিতি ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ ও আরও অনেক অসুখবিসুখ রোধে সাহায্য করে। মোটামুটি পুষ্টিকর খাবার এবং সপ্তাহে অন্তত দুই দিন আধঘণ্টা করে রোদে হাঁটাই যথেষ্ট। ধূমপান, বেশি ওজন ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের প্রদাহের কারণে রক্তে এই ভিটামিনের মাত্রা কমে যেতে পারে। তখনই বিপদ!

হাড় ক্ষয় রোধে ভিটামিন ডি

হাড় ক্ষয় রোধে ভিটামিন ডি
সাধারণত ভিটামিন ডি-র অভাবে হাড় ক্ষয় হয়। বার্ধক্যে হাড়ের ক্ষয় একটি সাধারণ সমস্যা। এছাড়াও ভিটামিন ডি-র অভাবে শিশুদের রিকেটস, বড়দের অস্টিওপরোসিস এবং হাড় ও জয়েন্টের নানা রোগ হয়। গবেষণায় পাওয়া যায়, শুধু হাড় ক্ষয় রোধ করার জন্য নয়, ভিটামিন ডি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের প্রতিরোধেও কার্যর্করী ভূমিকা রাখে। দৈনন্দিন খাবার তালিকায় ভিটামিন ডি পেতে সামুদ্রিক মাছ, ডিমের কুসুম, দুধ, গরুর কলিজা, কমলা, দই, কডলিভার অয়েল থাকতে হবে। একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন এক মিলিলিটার রক্তে ২০ ন্যানোগ্রাম ভিটামিন ডি থাকতে হবে। সূর্যের রশ্মি বা রোদ থেকেও এ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url