রূপচর্চার সহজ ৫০ টিপস

সুন্দর থাকতে পছন্দ করে সবাই। এ জন্য পোশাকের সঙ্গে মানানসই সাজ চাই। সাজের যেমন বিভিন্ন দিক রয়েছে তেমনি উপলক্ষভেদে সাজের পার্থক্যটাও গুরুত্বপূর্ণ। ঈদ, পূজা, পহেলা বৈশাখ, বসন্ত উৎসব থেকে শুরু করে ঘরোয়া জন্মদিনের অনুষ্ঠান বা বিয়েতে সাজের এই বৈচিত্র্য। সাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে আগে থাকে উৎসব ও ঋতু। স্বাচ্ছন্দ্যের পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাও সাজের উল্লেখযোগ্য দিক। সাজতে গিয়ে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকলে সাজ হয়ে ওঠে আরও আনন্দদায়ক। সুন্দর করে সাজতে এমন কিছু প্রশ্ন তাই মনে ওঠাটাই স্বাভাবিক।



বিয়েতে যাচ্ছেন, কী রঙের শাড়ি পরবেন? বর্ষায় ভেজা দিন, আজ কোন পোশাকটি পরলে ভালো হবে? এই গরমে কি মেকআপ নেবেন? রাতের পার্টিতে বেরুচ্ছেন লিপস্টিকের রং কেমন হলে ভালো হবে? সাজতে গিয়ে চোখের দিকে তাকালেন। সাজের কথা উঠলে চোখের কথা আসবেই। চোখজোড়া মায়াময় করে তুলতে কাজলের ব্যবহার হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। এখন যেমন পুরো চোখ কাজল দিয়ে সাজানো হয় আবার চোখের ওপরের অংশে লাইনার টেনে দেওয়া হয়। চোখের ওপরে ও নিচে লাইনার থাকে। আইশ্যাডোর ব্যবহার তো আছেই। কিন্তু যদি কাজল ছড়িয়ে যায়, তবে কী করবেন? একটু পাউডার চোখের নিচের অংশটায় ছড়িয়ে দিন। এবার কাজল লাগান। হয়তো কোনো পার্টিতে বা প্রোগ্রামে নিজেকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে চাইছেন। এর জন্য চলে নানা আয়োজন। তবে দেখা গেছে, সাজগোজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝামেলা পোহাতে হয় চুল বাঁধার ক্ষেত্রে। মুখের সাজগোজের পর চুল বাঁধতে গিয়ে অনেকেই বিপদে পড়ছেন। কোনো অনুষ্ঠান বা উপলক্ষের জন্য বিভিন্নভাবে চুল বাঁধা যেতে পারে। যেমন- বিয়ের অনুষ্ঠানে শাড়ির সঙ্গে মানিয়ে আপনি করতে পারেন খোঁপা। আবার ফতুয়া ও জিন্সের সঙ্গে খোঁপা মানানসই হবে না। তখন কী করবেন?

পাশ্চাত্য পোশাকের সঙ্গে খুলে দিন চুল অথবা সামনের দিকে ব্যাককম্ব করে একটু ফুলিয়ে দিতে পারেন। বড় বা মাঝারি চুলও সম্ভব হলে ছেড়ে দিতে পারেন। যদি ঘরোয়া কোনো উৎসব থাকে, তবে ছোট বা মাঝারি চুল হলে সাইডে সিঁথি করে বাকি চুল ছেড়ে দিন। চাইলে কানের গোড়ায় গুঁজতে পারেন বর্ষার কোনো ফুল। বর্ষার কথা এলে বর্ষার সাজ নিয়ে আগ্রহ জাগতেই পারে। বর্ষা মানেই উজ্জ্বল রং। দিনে হোক বা রাতে যে কোনো সময়ই আপনি উজ্জ্বল রঙের পোশাক বা মেকআপ ব্যবহার করতে পারেন। বর্ষা হলো নিওন রঙের সেরা সময়। এ সময় পোশাকে স্মার্ট মিঙ্ অ্যান্ড ম্যাচ করুন নিউট্রাল শেডের সঙ্গে। ফুলেল প্রিন্ট বা হাল্কা রঙের পোশাক পরলে রঙের ছোঁয়া আনুন রঙিন জুতো বা ব্যাগে। গয়না পরুন জমকালো, সুন্দর দেখাবে।

তবে এসব হিসেব তখনই যখন সাজসজ্জা কিংবা এ-সংক্রান্ত প্রাথমিক জ্ঞানগুলো আপনার জানা থাকে। ত্বকের যত্ন, চুলের যত্ন, হাত ও পায়ের যত্নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রূপচর্চার ৫০টি টিপস নিয়ে এ আয়োজন জানাচ্ছেন- উম্মে হানি ও নূরজাহান জেবিন




১. প্রতিদিন অন্তত দুবার মুখ পরিষ্কার করুন। এ জন্য মাঝে মাঝে এলোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। কখনো গরম অথবা অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুবেন না। একরকম পানি সব সময় ব্যবহার করুন।
২. গরমের সময় হালকা মেকআপই শ্রেয়। এতে আপনাকে দেখতে যেমন স্নিগ্ধ দেখাবে তেমনি আপনি নিজের কাছেও কোনো প্রকার অস্বস্তি বোধ করবেন না।
৩. অতিরিক্ত আইসক্রিম ব্যবহার করবেন না। এতে আপনি নখের কিউটিক্যালে ব্যবহার করতে পারেন।
৪. গরমে কালার করা চুলের রং রক্ষা করতে সতর্ক থাকুন। এ জন্য প্রত্যেক সপ্তাহে অন্তত একবার কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন।
৫. স্মাজ প্রুফ আই মেকআপের জন্য ব্লটিং টিস্যু ব্যবহার করুন। এতে চোখের চারপাশ থেকে এঙ্সে অয়েল বা এঙ্সে মেকআপ রিমুভ করা যায়।
৬. ব্লাশন নিয়ে অনেক সময় দ্বিধায় ভুগতে হয় আসলে মুখের কোনো অংশটিতে ব্লাশন লাগালে সুন্দর দেখাবে। আপনার নাকের চেয়ে ২ আঙ্গুল দূর থেকে ব্লাশন লাগানো শুরু করা উচিত।
৭. চুল ব্লো ড্রাই করার আগে ভালো মানের ভলিউমাইজিং স্প্রে অথবা হালকা জেল দিয়ে ব্যবহার করুন। এতে চুল ঘন দেখাবে।
৮. মেনিকিউর করার পর নখের সৌন্দর্য বজায় রাখতে অন্তত ২ দিন পর পর নখে ক্লিয়ার নেইল পলিশ লাগান।
৯. যদি চোখের সাজ অনেক বেশি শিমারি হলে একটু ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করুন। এতে সুন্দর দেখাবে। চোখের পাতার বেইজ হিসেবে কন্সিলার লাগাতে পারেন।
১০. আপনার ঠোঁট যদি বেশি পাতলা হয়ে থাকে তাহলে তো সমস্যা সুন্দর দেখাবে না। তাই লিপস্টিক লাগানোর আগে স্কিন কালারের কোনো লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁটের বাইরে আউটলাইন করুন।
১১. ত্বকে ব্রণ দেখা দিতেই পারে এ জন্য যখনই এই সমস্যা হবে তখন টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করা শুরু করবেন।
১২. গরমের সময় পায়ের ত্বকে কালচে আবরণ দেখা দিতে পারে। ত্বককেও সূর্যের ক্ষতিকর এই প্রভাব থেকে রক্ষা করতে ভুলবেন না। এ জন্য বের হওয়ার আগে পায়েও এসপিএফ ৫০ সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন লাগাবেন।
১৩. ক্লিন ত্বকের জন্য স্যালিসাইলিক এসিড সমৃদ্ধ ক্লিনজার ব্যবহার করুন। এতে ত্বক ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত থাকবে এবং সহজেই ক্লিন দেখাবে।
১৪. অনেকেরই চুলের আগা ফেটে যায়। এ সমস্যার রোধ করার জন্য প্রথমে হেয়ার আয়রন দিয়ে চুল স্ট্রেইট করে নিন। এরপর হেয়ার রিপেয়ার ক্রিম লাগান।
১৫. মুখে ক্রিম লাগালে তা লক করে রাখার জন্য এর ওপর ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার বুলিয়ে দিন।
১৬. যখন কোনো অরগানিক বিউটি প্রোডাক্ট কিনবেন তার আগে দেখে নিন এটি এফডিএ সারটিফায়েড অরগানিক কিনা।
১৭. গরমের দিনে ফাউন্ডেশনের বদলে টিনটেড ময়েশ্চারাইজার
ব্যবহার করুন। এতে ত্বকে অস্বস্তিভাব আসবে না।
১৮. চুল কালো করে যদি অনেকক্ষণ পর্যন্ত টিকিয়ে রাখতে চান তবে চুল সম্পূর্ণ শুকানোর পরই কেবল চুলে কারলিং মেশিন ব্যবহার করবেন।
১৯. সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। কেননা সালফেট চুলকে রাফ করে দেয় এবং চুলের কিউক্যালকে নষ্ট করে দেয়।
২০. যদি আপনার কাছে নেলপলিশ রিমুভার না থাকে তবে ক্লিয়ার কালারের নেইল পলিশ লাগিয়ে নিন। এরপর কুলো দিয়ে তুলে ফেলুন। দেখবেন পুরনো নেইল পলিশ উঠে গেছে।
২১. শীতকালে আপনার চামড়া শুষ্ক হয়ে যায়। এতে আপনার ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক। তাই আপনার ত্বকের স্নিগ্ধতা ফিরে আনার জন্য হিউমিডিফাইয়ার যন্ত্রটি ব্যবহার করতে পারেন।
২২. স্ট্রেইটনার দিয়ে চুল আয়রন করার সময় খেয়াল রাখবেন তাপমাত্রা যেন কম হয়। তাহলে চুলের ক্ষতি কম হবে।
২৩. ত্বকের মৃত কোষগুলো তুলে ফেলুন। সঠিকভাবে ধোয়া ছাড়া করলে ত্বকের সমস্যা হবে। সঠিকভাবে করলে শরীরের অপ্রয়োজনীয় তেল এবং শুষ্কতা অপসারণ করে আপনার ত্বককে তুলবে প্রাণবন্ত।
২৪. ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিন একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। সাধারণত শীতকালে আপনার ময়েশ্চারাইজার দিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করা উচিত। অন্য সময় নয়। এতে আপনার শুষ্ক ত্বক মসৃণ হয়ে উঠবে।
২৫. সব সময় পরিষ্কার মেকআপ ব্রাশ নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে মুখে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে।
২৬. সানস্ক্রিন হলো ত্বকের অপরিহার্য উপাদান। যা অল্প বয়স থেকেই করা উচিত। এটি এমন একটি পদ্ধতি যেটা সূর্যের রশ্মি দ্বারা আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং আপনার ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
২৭. শুষ্ক ঠোঁট আপনার ক্ষতির অনেক কারণ হতে পারে। এ জন্য আপনি আপনার ঠোঁটের সৌন্দর্য রক্ষার জন্য লিপ জেল ব্যবহার করতে পারেন।
২৮. আপনি যদি অপর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান তাহলে আপনার ত্বক ফ্যাকাসে, নিস্তেজ এবং শুষ্ক দেখাবে। তাই আপনাকে প্রতি রাতে অবশ্যই কমপক্ষে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। এটা আপনার ত্বকের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
২৯. পানি শরীরের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান। তাই পরিমাণ মতো পানি পান করুন। এটি আপনার ত্বককে সারা দিন প্রাণবন্ত করে রাখতে সাহায্য করবে।
৩০. আপনার খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। এটা আপনার ত্বককে প্রভাবিত করে। পরিমিত পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ই সমৃদ্ধ ফল এবং শাক-সবজি নিয়মিত গ্রহণ করুন। চর্বি ও তৈলযুক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন, এটা আপনার ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে।
৩১. প্রতিদিন বাইরে থেকে বাসায় ফিরে হালকা গরম পানিতে লবণ ও লেবুর রস দিয়ে ১০ মিনিট পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর পা ধুয়ে ফেলুন। পায়ে কোনো দুর্গন্ধ থাকবে না।
৩২. বডি লোশন লাগানোর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট সময় হলো গোসলের পর পর। কেননা এ সময় স্কিন সহজে লোশন শোষণ করে নেয়।
৩৩. বছরে অন্তত তিনবার বা ৩/৪ মাস পর পর আইলাইনার এবং মাশকারা বদলে ফেলবেন।
৩৪. মুখে সব সময় ক্রিমি ক্লিনজার ব্যবহার করবেন। কেননা জেলগুলো ত্বক শুষ্ক করে দেয়।
৩৫. এক গ্লাস পানির মধ্যে বরফ দিয়ে ওর মধ্যে মধু, লেবু এবং পুদিনা পাতা দিন শরবত করে নিন। সেই পানিটা পান করুন। এতে ত্বকের চমক বাড়বে।
৩৬. অনেক সময় ত্বকের স্বাভাবিকতা ম্লান হয়ে গিয়ে ত্বকের ফর্সা ভাব ও উজ্জ্বলতা দিন দিন কালচে হতে থাকে। বাহ্যিক ময়লা আবরণ ও সূর্যরশ্মি ত্বকের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এতে ত্বকে কালচে ভাব দেখা দেয়। এ জন্য ত্বক ফর্সা করতে আঙুরের রস ব্যবহার করতে পারেন। কয়েকটি আঙুর নিয়ে মুখে আলতোভাবে ঘষুন।
৩৭. শসার রস। পরিমাণমতো শশার রসে মিশাতে হবে অল্প গি্লসারিন আর গোলাপ জল। সূর্যের অতি বেগুনি রশি্ন ত্বক পুরিয়ে ফেলে। শসার রস, গি্লসারিন ও গোলাপ জলের মিশ্রণ রোদে পোড়া ত্বকের জন্যে উপকারি। রোদে যাওয়ার আগে এবং বাসায় ফিরে এগুলি একসাথে মিশিয়ে মাখলে ত্বক উজ্জ্বল থাকবে।
৩৮. বয়সের ছাপ, বিষণ্নতা, অযত্ন, ত্বকে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের সতেজতা নষ্ট করে ফেলে। এ জন্য চন্দনের গুঁড়ার সাথে সামান্য হলুদ গুঁড়া ও দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। ত্বক সতেজ আর সুন্দর করতে এই মিশ্রণটি বেশ কার্যকর।
৩৯. দুধের সরের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হবে। শীতকালে এই মিশ্রণটি আপনার ত্বকের জন্য বেশ উপকারী।
৪০. প্রাত্যহিক কাজ-কর্মের বিভিন্ন সময় ত্বকের ভাঁজে ভাঁজে ধুলাবালি ও ময়লা লেগে বাহ্যিক ময়লা আবরণের স্তর লোমকূপের মাধ্যমে টিস্যু/কোষে জমা হয়। দুধের মধ্যে এক চিমটি লবণ আর লেবুর রস মেশান। এই মিশ্রণটি আপনার ত্বকের লোমকূপ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে।
৪১. বাহ্যিক ধুলাবালি, ময়লা, সূর্যের তাপ ও অবেহলার কারণে ত্বকের স্বাভাবিক মসৃণ ভাব কমে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। ত্বক নরম করতে টমেটোর রস খুবই কার্যকরী। টমেটোর রসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত ত্বকে লাগালে ভালো ফল পাবেন।
৪২. অনেকের ত্বকের বিভিন্ন স্থানে অবাঞ্চিত বা অনাকাক্ষিত লোম থাকে। যা মুখের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট করে। হলুদের গুঁড়া, গমের ময়দা ও তিলের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে মাখুন।
৪৩. একটা সময় সবারই বয়স বাড়তে থাকে এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে বিভিন্ন বলিরেখার সৃষ্টি হয়। বাঁধাকপির রস ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। বলিরেখা দূর করতে এই মিশ্রণ খুব উপকারী।
৪৪. ত্বকে অক্সিজেন- এর অভাব হলে সাধারণত উজ্জ্বলতা হ্রাস পায়। কারণ ত্বকে ময়লা জমলে অক্সিজেন প্রবেশ করতে পারে না। গাজরের রস মুখে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। গাজরের রস নিয়মিত মুখে লাগালে ত্বক সতেজ থাকবে ও উজ্জ্বলতা বাড়বে।
৪৫. খাদ্যাভ্যাস, ময়লা-ধুলাবালি, দুশ্চিন্তা, মানুষিক চাপ, নিদ্রাহীনতা, ধূমপান, মাদক এবং অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবনে মুখে ব্রণ দেখা দেয়। তিন ভাগ মধু ও এক ভাগ দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি ব্রণের ওপর লাগান। সারারাত রেখে পরদিন ধুয়ে ফেলুন। এই পেস্টটি আপনার ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করবে।
৪৬. শহরের যান্ত্রিক পরিবেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রাকৃতিক বাতাসের অভাব রয়েছে। এর ফলে ব্রণ ও ব্ল্যাকহেডের সৃষ্টি করে। বাদামের তেল ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। এই মিশ্রণটি ব্রণ ও ব্ল্যাকহেড দূর করতে সাহায্য করবে এবং আপনার ত্বককে করবে আরও সতেজ ও সুন্দর।
৪৭. ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির অভাবে ত্বকের সজীবতা হ্রাস পায়। ত্বক সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে পানি আবশ্যক। আ্যলোভেরার রস মুখে লাগালে ত্বকের দাগ দূর হয়। আ্যলোভেরার রস ত্বকের পানিস্বল্পতা দূর করে লাবণ্য ফিরিয়ে আনে।
৪৮. অনেকের শরীরের মসৃণতা বজায় রাখতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু বাজারের কেমিক্যাল যুক্ত এবং বাণিজ্যিকভাবে বিক্রীত প্যাকেট জাত দ্রব্য অনেক সময় উপকারের চেয়ে ক্ষতি করে থাকে। ঘি ও গি্লসারিনের মিশ্রণ খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার। রাসায়নিক ময়েশ্চারাইজারের বদলে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
৪৯. মুলতানি মাটি, নিমপাতা, তুলসীপাতা, গোলাপের পাপড়ি ও গোলাপ জল বা লেবুর পানি একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করুন। অবশ্যই ভালো ফল পাবেন। এতে করে দিন দিন আপনার ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
৫০. দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন অনিয়ম ও ত্বকের কোষে পানিশূন্যতা হলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। অ্যাপ্রিকট এবং দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বক সতেজ রাখে। যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয় তাহলে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। ভালো থাকবে আপনার ত্বক।
আপনার ত্বকের জন্য এসব ঘরোয়া সমাধান খুবই কার্যকরী। সূত্র
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url