জেনে নিন জন্ডিস হলে কি করবেন

জন্ডিস হতে পারে নানা কারণে। প্রস্রাবের রং, চোখ ও ত্বক হলদে দেখালে জন্ডিস হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। তখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে জন্ডিসের কারণ, মাত্রা, জটিলতা ইত্যাদি জেনে নেওয়া উচিত।



জীবাণুর সংক্রমণের কারণে জন্ডিস হয়ে থাকলে রোগীর চিকিৎসার পাশাপাশি আপনজনদের সুরক্ষার ব্যাপারটিও খেয়াল রাখা দরকার। জীবাণু কিছু ছড়ায় খাবার ও দূষিত পানির মাধ্যমে; কিছু জীবাণু আবার ছড়িয়ে পড়ে দূষিত রক্ত, অনিরাপদ সুইয়ের মাধ্যমে।
কোনো রোগীর ক্ষেত্রে কী ধরনের সতর্কতা প্রয়োজন, তা নির্ভর করে জন্ডিসের কারণের ওপর। 


জন্ডিস রোগীর ব্যাপারে কিছু বিষয় জেনে রাখা ভালো:

* অতিরিক্ত তেল-চর্বিসমৃদ্ধ এবং মসলাদার খাবার না খাওয়াই ভালো। এতে যকৃতের বিশ্রাম হয়।
* জন্ডিস হলে অন্তত দুই সপ্তাহ পূর্ণ বিশ্রাম প্রয়োজন।
* চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করবেন না। জন্ডিস সারানোর জন্য কবিরাজি, হারবাল, টোটকা যেসব ওষুধ বিক্রি করা হয়, কোনো অবস্থাতেই সেগুলো সেবন করা যাবে না। এমনকি আপনার নিয়মিত সাধারণ ওষুধগুলোও খাওয়া যাবে কি না তা চিকিৎসকের কাছে জেনে নিন।
* সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত না ধুয়ে খাবার, রান্নার উপকরণ কিংবা থালাবাটি ধরবেন না; টয়লেট ব্যবহারের পর অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।
* এ সময় রক্তদান করবেন না।
* অ্যালকোহল বা এ-জাতীয় কোনো পানীয় গ্রহণ করবেন না।
* জন্ডিসে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত নেইল কাটার, ব্লেড, রেজার বা শেভিং কিট অন্য কেউ ব্যবহার করবে না।
* স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে যেকোনো একজন হেপাটাইটিস বি কিংবা সি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অপরজনের সুরক্ষার বিষয়টি ভুলে যাওয়া চলবে না; অন্যজনকে হেপাটাইটিস বি-এর টিকা নিতে হবে এবং বৈবাহিক জীবনে অবশ্যই কনডম ব্যবহার করতে হবে।
* জন্ডিসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের কোনো অংশ কেটে গেলে তা কখনোই উন্মুক্ত রাখা যাবে না, বরং ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিয়ে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে রাখতে হবে।

ডা. রাফিয়া আলম
মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

সুত্র: প্রথম আলো
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url