কামরাঙার পুষ্টিগুণ

কামরাঙার পুষ্টিগুণ

দৃষ্টিনন্দন ফল কামরাঙা সকল বয়সী মানুষের পছন্দের ফল। এটা 'ভিটামিন সি’তে পূর্ণ। তাই বলে কামরাঙা পুষ্টিহীন এমন নয়। এতে রয়েছে উচ্চমানের ভিটামিন এ এবং সি। এই ফল বাড়ন্ত শিশুদের জন্য, খেলোয়াড়, অ্যাথলেটদের জন্য এই ফল যথেষ্ট উপকারী। 

যারা নিয়মিত ভরা পেটে কামরাঙা খান, তাদের চুল, ত্বক, নখ ও দাঁত তুলনামূলকভাবে উজ্জ্বল, ভঙ্গুরহীন হয়। - ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে। 

এই ফল ব্রণ হওয়ার পরিমাণ কমায়। পাশাপাশি এই ফল কাজ করে চুল, ত্বক, নখ ও দাঁতের সুরক্ষায়। সমসাময়িক সংক্রামক রোগগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে কামরাঙা। অতিরিক্ত মোটা মানুষের দেহের চর্বি কমাতে সাহায্য করে এই ফল। 

এতে যে আঁশ রয়েছে তা কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাকস্থলীর ক্যান্সার দূর করে। কামরাঙায় নেই কোনো চর্বি বা ফ্যাট। তাই এই ফল খেলে রক্তে চিনি বা চর্বি বৃদ্ধির আশঙ্কা নেই। অতিরিক্ত টক লাগলে ডাল বা তরকারির সঙ্গে রান্না করে খেতে পারেন। তবে কোনো অবস্থাতেই কেউ এই ফল খালি পেটে খাবেন না। এতে বিদ্যমান খনিজ লবণগুলো দাঁত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে। কিছু পরিমাণ জিংকও রয়েছে এতে।

কামরাঙার ঔষধিগুণ: কামরাঙ্গায় ঔষুধিগুণ রয়েছে প্রচুর। নিয়মিত কামরাঙা খেলে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এছাড়া পাকা কামরাঙ্গা রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। ফল এবং পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে পান করলে বমি বন্ধ হয়। পাতা ও ডগার গুঁড়া সেবনে জলবসন্ত ও বক্রকিৃমি নিরাময় হয়। কাশি ও অ্যাজমা নিরাময়ে পোড়াকামরাঙ্গা উপকারী।

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ভরা পেটে (অবশ্যই যাদের কিডনির কোনো সমস্যা নেই) কামরাঙা খান, তাদের চুল, ত্বক, নখ ও দাঁত তুলনামূলক উজ্জ্বল হয়। নানা সংক্রামক রোগও প্রতিরোধ করে কামরাঙা। অতিরিক্ত মোটা মানুষের দেহের চর্বি কমাতেও কামরাঙা সাহায্য করে। মাথাব্যথা ও জলবসন্ত হলে কামরাঙা খেলে উপকার পাওয়া যায়। কোনো কারণে চোখ ব্যথা করলে কামরাঙা খেলে উপকার পাওয়া যায়।

রুপচর্চায় কামরাঙা : দৃষ্টিনন্দন এ ফল ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও সহায়তা করে। পাশাপাশি এ ফল কাজ করে চুল, ত্বক, নখ ও দাঁতের নানা সমস্যা সমাধানে।এর রস চুলে মাখলে খুশকির সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়।

তবে যারা কিডনি জটিলতায় ভুগছেন তাদের কামরাঙ্গা থেকে সতর্ক থাকা উচিৎ। যেমন- কিডনিতে পাথর বা যারা কিডনি ডায়ালাইসিস চিকিৎসায় আছেন তাদের কামরাঙ্গা খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন থাকা উচিত। কেননা কামরাঙ্গাতে রয়েছে অক্সালিক এসিড যা কিডনি জটিলতায় ভুক্তোভুগীদের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url