মানুষ আর মাত্র ১০০ বছর

পৃথিবী থেকে গুটিবসন্তের জীবাণুর অস্তিত্ব ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষেত্রে যে কয়েকজন বিশ্বখ্যাত জীববিজ্ঞানীর ভূমিকা রয়েছে, তাঁদের অন্যতম একজন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আগামী এক শ বছরের মধ্যে মানবজাতির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাবে। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে দায়িত্বরত অধ্যাপক ফ্রাঙ্ক ফেনার নামের ওই বিজ্ঞানীর দাবি, হোমোসেপিয়েন্স গোত্রের (মানুষ, বানর, শিম্পাঞ্জি ইত্যাদি) প্রাণী শিগগিরই সমূলে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। হয়তো এক শ বছরের মধ্যেই সে রকম একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। ব্রিটেনের পত্রিকা ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে।


ফ্রাঙ্ক ফেনার বলেছেন, ‘অ্যানথ্রোপোসিন পিরিয়ড’ বলে পরিচিত বিজ্ঞানের নিয়ন্ত্রণরহিত একটি যুগে মানবজাতি ইতিমধ্যেই পদার্পণ করেছে। মানুষ শিল্পায়নের যুগে প্রবেশ করামাত্র (কার্বন নিঃসরণের মাধ্যমে) প্রকৃতির ওপর প্রভাব পড়া শুরু করেছে। তিনি বলেছেন, বরফযুগে যেভাবে বিভিন্ন প্রজাতি ধ্বংস হয়ে গেছে, সে রকম পরিস্থিতি আবির্ভাবের প্রাথমিক লক্ষণ শুরু হয়ে গেছে। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রাথমিক পর্যায় চলছে। কিন্তু তাতেই আবহাওয়ার ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়া শুরু হয়েছে। তিনি জানান, আধুনিক এই মানবসমাজকে পূর্ব গোলার্ধের প্রাচীন মানবজাতির মতো ভাগ্যবরণ করতে হবে। সেখানকার আদিবাসীরা কার্বন-ডাই অক্সাইডের নিঃসরণ না ঘটিয়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার বছর পর্যন্ত টিকে ছিল। কিন্তু শিল্পায়নভিত্তিক এই আধুনিক বিশ্ব কার্বন নিঃসরণ ছাড়া চলতে পারবে না। তাই অবধারিতভাবেই মহাকালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া বহু প্রজাতির মতো মানুষও সমূলে ধ্বংস হয়ে যাবে। আর সেটা হবে আগামী এক শ বছরের মধ্যে।

তবে ফ্রাঙ্ক ফেনারের সহকর্মী স্টিফেন বয়ডেন বলেছেন, ফেনারের মতো নৈরাশ্যবাদীদের পাশাপাশি কিছু আশাবাদী বিজ্ঞানীও রয়েছেন। তিনি বলেছেন, ফ্রাঙ্ক হয়তো ঠিক কথাই বলেছেন, কিন্তু অনেকেরই প্রত্যাশা ভয়াবহ সেই পরিস্থিতি আসার আগেই বিজ্ঞানীরা এমন কোনো বৈপ্লবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সক্ষম হবেন, যা প্রাকৃতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে। বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে মানুষ। পিটিআই অনলাইন।



সুত্র: প্রথম আলো২১জুন২০১০.

লিংক. http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-06-21/news/72489
Next Post
No Comment
Add Comment
comment url