আকবর আলি খান
আকবর আলি খান। ইতিহাস, অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি—বিচিত্র বিষয়ে তাঁর আগ্রহ। বর্তমানে শিক্ষকতা করছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা।
অর্থনীতির অন্য পাঠ
এখন আমি সার্বক্ষণিক বইয়ের সঙ্গে থাকি। ফলে সময়-অসময়ের বাছবিচার এখানে অবান্তর। বর্তমানে পড়ছি খুবই চিত্তাকর্ষক একটি বই, স্টিবেন ডি লেবিট ও স্টিফেন জে ডুবনারের লেখা সুপার ফ্রিকোনমিক্স। এটি অর্থনীতিবিষয়ক এমন এক বই, যেখানে অর্থনীতির গাণিতিক ও তাত্ত্বিক কাঠামোর পাশাপাশি সামাজিক বাস্তবতাও প্রাধান্য পেয়েছে। আসলে ফ্রিকোনমিকস শব্দের অর্থ আজব অর্থনীতি। সহজভাবে বললে বলা যাবে, একটি উদ্দেশ্যে অর্থনীতির তত্ত্ব তৈরি হলেও পরবর্তীকালে যা অন্য উদ্দেশ্যের দিকে ধাবিত হয়—এ রকম অর্থনীতিকেই বলা হচ্ছে ফ্রিকোনমিকস। অর্থনীতির নিয়ন্ত্রক সাধারণ মানুষ এবং সাধারণ মানুষের ওপর অর্থনীতির যে প্রভাব, তার সবিস্তার বর্ণনা রয়েছে বইটিতে। আমার লেখা পরার্থপরতার অর্থনীতিতেও আমি এই ধারায় কাজ করেছি। ফলে বইটি আমাকে বেশ ভালোভাবেই আকর্ষণ করেছে।
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো
আমি মূলত রবীন্দ্রসংগীত শুনি। বিষয়টা এমন যে, রবীন্দ্রনাথের গানের কথা ও সুরের সঙ্গে বারবারই আমি এক রকম একাত্মতা বোধ করি। শুধু তা-ই নয়, রবিঠাকুরের গান আমাকে অনেক চিন্তার খোরাক জোগায়। ‘অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো’, ‘আকাশভরা সূর্য তারা,’ কিংবা ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’...এ রকম অসংখ্য গানের চরণের মধ্যে অনেক চিন্তা আছে। তাই রবীন্দ্রনাথের গান শুধু কানের কাছেই শ্রুতিমধুর নয়, চিন্তা ও মনের কাছেও এটি মনোহর। এ ছাড়া লালন এবং পুরোনো দিনের আধুনিক গানও আমার প্রাণ ছুঁয়ে যায়।
লেখার চিন্তাতেই এখন মগ্ন
আমি কখনো এক বিষয়ে আবদ্ধ থাকিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি ইতিহাস, কানাডায় আবার পড়েছি অর্থনীতি বিষয়ে। তো, আমার এখন বেশ কয়েকটি পাঠ্যপুস্তক লেখার ইচ্ছা আছে। তবে সবার আগে আমাদের দেশের দারিদ্র্য, এর কার্যকারণ এবং সমাধানের বিষয়ে আমি একটি পাঠ্যপুস্তক রচনা করতে চাই। দারিদ্র্যের তো বহু রূপ আছে। তাই কোনো নির্দিষ্ট তত্ত্ব দিয়ে এর পূর্ণাঙ্গ সমাধান সম্ভব নয়। একেক জায়গায় যেমন একেক ধরনের সমস্যা আছে, তেমনি এর সমাধানও ভিন্ন ভিন্ন বাস্তবতা এবং উপায় হতে বাধ্য—এ রকম ধারণাকে সহজ ও বিস্তারিত করে লেখার চিন্তাতেই এখন মগ্ন।
ভ্রমণপিয়াসী মন
ভ্রমণ আমার খুব ভালো লাগে। কিন্তু নিজের অসুস্থতার কারণে বর্তমানে আর ভ্রমণ করতে পারি না। সুস্থ হয়ে, তখন ইতিহাস নিয়ে পর্যালোচনার জন্য ঐতিহাসিক স্থানগুলো আবার দেখতে চাই...সেই মহাস্থানগড়, সোমপুর বিহার, ময়নামতি...আজও যেন চোখ ছুটে যায়।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ
অর্থনীতির অন্য পাঠ
এখন আমি সার্বক্ষণিক বইয়ের সঙ্গে থাকি। ফলে সময়-অসময়ের বাছবিচার এখানে অবান্তর। বর্তমানে পড়ছি খুবই চিত্তাকর্ষক একটি বই, স্টিবেন ডি লেবিট ও স্টিফেন জে ডুবনারের লেখা সুপার ফ্রিকোনমিক্স। এটি অর্থনীতিবিষয়ক এমন এক বই, যেখানে অর্থনীতির গাণিতিক ও তাত্ত্বিক কাঠামোর পাশাপাশি সামাজিক বাস্তবতাও প্রাধান্য পেয়েছে। আসলে ফ্রিকোনমিকস শব্দের অর্থ আজব অর্থনীতি। সহজভাবে বললে বলা যাবে, একটি উদ্দেশ্যে অর্থনীতির তত্ত্ব তৈরি হলেও পরবর্তীকালে যা অন্য উদ্দেশ্যের দিকে ধাবিত হয়—এ রকম অর্থনীতিকেই বলা হচ্ছে ফ্রিকোনমিকস। অর্থনীতির নিয়ন্ত্রক সাধারণ মানুষ এবং সাধারণ মানুষের ওপর অর্থনীতির যে প্রভাব, তার সবিস্তার বর্ণনা রয়েছে বইটিতে। আমার লেখা পরার্থপরতার অর্থনীতিতেও আমি এই ধারায় কাজ করেছি। ফলে বইটি আমাকে বেশ ভালোভাবেই আকর্ষণ করেছে।
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো
আমি মূলত রবীন্দ্রসংগীত শুনি। বিষয়টা এমন যে, রবীন্দ্রনাথের গানের কথা ও সুরের সঙ্গে বারবারই আমি এক রকম একাত্মতা বোধ করি। শুধু তা-ই নয়, রবিঠাকুরের গান আমাকে অনেক চিন্তার খোরাক জোগায়। ‘অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো’, ‘আকাশভরা সূর্য তারা,’ কিংবা ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’...এ রকম অসংখ্য গানের চরণের মধ্যে অনেক চিন্তা আছে। তাই রবীন্দ্রনাথের গান শুধু কানের কাছেই শ্রুতিমধুর নয়, চিন্তা ও মনের কাছেও এটি মনোহর। এ ছাড়া লালন এবং পুরোনো দিনের আধুনিক গানও আমার প্রাণ ছুঁয়ে যায়।
লেখার চিন্তাতেই এখন মগ্ন
আমি কখনো এক বিষয়ে আবদ্ধ থাকিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি ইতিহাস, কানাডায় আবার পড়েছি অর্থনীতি বিষয়ে। তো, আমার এখন বেশ কয়েকটি পাঠ্যপুস্তক লেখার ইচ্ছা আছে। তবে সবার আগে আমাদের দেশের দারিদ্র্য, এর কার্যকারণ এবং সমাধানের বিষয়ে আমি একটি পাঠ্যপুস্তক রচনা করতে চাই। দারিদ্র্যের তো বহু রূপ আছে। তাই কোনো নির্দিষ্ট তত্ত্ব দিয়ে এর পূর্ণাঙ্গ সমাধান সম্ভব নয়। একেক জায়গায় যেমন একেক ধরনের সমস্যা আছে, তেমনি এর সমাধানও ভিন্ন ভিন্ন বাস্তবতা এবং উপায় হতে বাধ্য—এ রকম ধারণাকে সহজ ও বিস্তারিত করে লেখার চিন্তাতেই এখন মগ্ন।
ভ্রমণপিয়াসী মন
ভ্রমণ আমার খুব ভালো লাগে। কিন্তু নিজের অসুস্থতার কারণে বর্তমানে আর ভ্রমণ করতে পারি না। সুস্থ হয়ে, তখন ইতিহাস নিয়ে পর্যালোচনার জন্য ঐতিহাসিক স্থানগুলো আবার দেখতে চাই...সেই মহাস্থানগড়, সোমপুর বিহার, ময়নামতি...আজও যেন চোখ ছুটে যায়।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ