স্মৃতিশক্তি ঠিক রাখতে চাইলে ৪টি নিয়ম মেনে চলুন

স্মৃতিশক্তি দূর্বল হোক এটা করোর কাম্য নয়। আমরা সবাই চাইব নিজের স্মৃতিশক্তি যেন ঠিকঠাক থাকে। আমাদের প্রত্যাহিক জিবনে চেনা লোকের নামটি হঠাৎ করেই মনে পড়ছে না এমন হয়। কোথায় কী রাখছেন, পরক্ষণেই ভুলে যাচ্ছেন। কোনো কিছু পড়ে মনে রাখতে পারছেন না। কাল কী খেয়েছিলেন, আজ মনে করতে বেগ পেতে হচ্ছে। এসব লক্ষণ আপনার মধ্যে থাকলে নিশ্চিত বুঝতে হবে আপনার স্মৃতিবিভ্রম হচ্ছে।



প্রতিটা অ্যানগ্রামের পথই হল স্মরণশক্তি। জেনেটিক বিজ্ঞানীরা বলেন, পিতামাতার স্মরণশক্তি বা মেধাশক্তি বেশি থাকলে সন্তানরাও সে রকম হয়। এজন্য স্মরণশক্তির বংশগতির বৈশিষ্ট্যের একক জিনের ওপর শতকরা ৬০ ভাগ নির্ভরশীল। বাকি ৪০ ভাগ পরিবেশ, পুষ্টিকর খাদ্য ও মস্তিষ্কের চর্চার ওপর নির্ভর করে। গবেষকদের মতে, কোনও শিশু কম বুদ্ধি বা কম স্মরণশক্তিসম্পন্ন জিন বহন করলেও ভালো পরিবেশের কল্যাণে ভালো বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে পারে। সুতরাং সহায়ক পরিবেশ পেলে এবং মস্তিষ্কের কিছু চর্চা করলে স্মরণশক্তি বাড়ানো সম্ভব। জেনে রাখা যেতে পারে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করার কিছু কৌশল।কী করে চাঙ্গা রাখবেন আপনার মস্তিষ্কের কোষকে?

কিছু বিষয় মেনে চললে আপনার স্মৃতি হয়ে ওঠবে সতেজ। যে তালিকায়র প্রথম শব্দটিই ব্যায়াম। ব্যায়াম বা দৌড়ঝাঁপে শুধু শরীরই চাঙ্গা থাকে না, মস্তিষ্কও চনমনে থাকে। তাই সকালটা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করলে, এর চেয়ে ভালো আর কিছু হয় না। কাজে ঠিকমতো মনোনিবেশও করতে পারবেন।

১। মস্তিষ্ক বা স্মৃতিশক্তিকে চাঙ্গা রাখতে রাতে ঘুম অত্যন্ত জরুরি। যারা এখনই স্মৃতিবিভ্রমে ভুগছেন, রোজ ভালো করে ঘুমানোর উপর জোর দিন। রাতে সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমোতেই হবে। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত একঘণ্টা আগে টিভি দেখা বন্ধ করতে হবে। ওইসময় স্মার্টফোন বা ট্যাব নিয়েও ঘাঁটাঘাঁটি করা যাবে না। ভালো ঘুমাতে ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল কম খেতে হবে।


২। বয়সের সঙ্গে স্মৃতিবিভ্রমের ঝুঁকি এড়াতে হলে মস্তিষ্কে নানা কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে। রোজ কাগজ দেখে শব্দ ছক, সুডোকু করলেও ভালো মাথা খাটানো হয়। এ ছাড়াও নতুন নতুন জিনিস শিখতে হবে। লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা করতে হবে। তাতে মস্তিষ্ক ক্ষুরধার হবে।

৩। কাজকর্ম করতে হলে দিনশেষে শারীরিক ধকল থাকবেই। কিন্তু, সেই ধকল যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে। কাজের চাপ বাড়িয়ে নেবেন না। মাঝেমধ্যে 'না' বলতে শিখতে হবে। কারণ ক্রনিক স্ট্রেস আপনার মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি করে। যার প্রভাব পড়ে স্মৃতিশক্তিতে। তীব্র হতাশা থেকেও স্মৃতিশক্তি নষ্ট হতে পারে।

৪। স্মৃতিশক্তি পুনরুদ্ধারে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাদ্যতালিকা থেকে আগে বাদ দিন। প্রচুর শাকসবজি ফলমূল খাওয়ার পাশাপাশি অবশ্যই জোর দিন ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর খাবারও খেতে হবে। কারণ, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সুরক্ষিত রাখে। যে কারণে গ্রিন-টি খুব উপকারী। তেল-মসলা কমিয়ে, সম্ভব হলে অল্প অলিভ ওয়েলে রান্না করা খাবারে জোর দিন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url