আপনি জানেন কি? রাডার কিভাবে কাজ করে
photo by www.jamstec.go.jp |
১৯০৪ সালে মার্কিন গবেষক ক্রিশ্চিয়ান হালসমেয়ার প্রথম কার্যকর রাডার আবিষ্কার করেন। ওই রাডার শুধু জাহাজের মতো বড় ধাতব বস্তুর অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে পারত, দূরত্ব নয়। পরে ১৯১৭ সালে নিকোলা টেসলা রাডারে প্রথম ফ্রিকোয়েন্সি ও পাওয়ার লেভেল ইউনিট যোগ করেন।
বিদ্যুৎচুম্বকীয় তরঙ্গ ছোড়ার পর ধাতব বস্তুতে ওই তরঙ্গ বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ছড়িয়ে যায়। এর মধ্যে কিছু তরঙ্গ আবার রাডারের রিসিভারে ধরা পড়ে। তবে রিসিভারটি রাডারের মূল তরঙ্গ নিক্ষেপ যন্ত্রের সঙ্গে নাও থাকতে পারে।
বিমানের মতো কোনো লক্ষ্যবস্তু অবস্থান পরিবর্তন করলে রাডারের রিসিভারে ধরা পড়া তরঙ্গের ফ্রিকোয়েন্সি তথা তরঙ্গদৈর্ঘ্যেও সামান্য পরিবর্তন আসে। এই ক্ষুদ্র পরিবর্তন দিয়েই বের করা হয় বস্তু তার আগের অবস্থান থেকে কতটুকু সরেছে। ১. শক্তিশালী রেডিও তরঙ্গ তৈরি করবে রাডারের ম্যাগনেট্রন যন্ত্র২. ম্যাগনেট্রন থেকে ওই তরঙ্গ ডুপ্লেক্সার নামের আরেকটি যন্ত্রের সাহায্যে অ্যান্টেনায় পেঁৗছে যায়।৩. অ্যান্টেনা থেকে সূক্ষ্ম তরঙ্গ নির্গত হয়৪. রেডিও তরঙ্গ আঘাত করে লক্ষ্যবস্তুতে৫. বাধা পেয়ে ফিরে আসা তরঙ্গ ধরা পড়ে রিসিভার অ্যান্টেনায়৬. অ্যান্টেনা থেকে আবার আরেকটি ডুপ্লেক্সারের মাধ্যমে তরঙ্গ চলে যায় রিসিভার ইউনিটে।৭. সফটওয়্যারের সাহায্যে ওই তরঙ্গ প্রক্রিয়াকরণ হয়ে মনিটরে লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান ফুটে ওঠে।