হার্ট অ্যাটাক কি

 হার্ট অ্যাটাক কি এবং কেন হয়।

হার্ট অ্যাটাক কি?- অনেকের শরীরে বিভিন্ন রক্তনালিতে চর্বি জমে। এই চর্বি জমার কারণে দেহে বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত সরবরাহ কমতে থাকে। সাধারণত হার্টের রক্তনালি গুলোর ভেতরের আবরণে চর্বি জমার পরিমাণের ওপর হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা নির্ভর করে।


 যার শরীরের রক্তনালি গুলোর ভেতরের আবরণে চর্বি জমার পরিমাণ বেশি সে হার্ট অ্যাটাকের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকে। এই জমাকৃত চর্বিগুলো কারণে রক্তনালির ভেতরের আবরণ ফেটে যায় ও এজন্য সেখানে রক্ত জমাট বেঁধে রক্তনালির সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। রক্ত সরবরাহ কম হওয়ায় হার্টের মাংসপেশি নষ্ট হতে থাকে ও একসময় হার্ট অ্যাটাক হয়। হার্ট অ্যাটাকের সময় সাধারণত বুকের মাঝখানে ব্যথা হয়। কখনও কখনও বুক চেপে আসা, বুক ভারি লাগা, বুক জ্বলে যাওয়া- এ রকম উপসর্গ হতে পারে। বসা, শোয়া অবস্থায়ও ব্যথা হয়, ব্যথাটা বাঁ হাতে, গলায়, পেছনে ছড়িয়ে যেতে পারে। ব্যথার সঙ্গে ঘাম, বমি হওয়া ও শ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে পারে। 

হার্টের রক্তনালিতে চর্বি জমার প্রধান কারণগুলো হলো- অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা, অতিরিক্ত খাওয়া ও খাওয়ার পরপর শারীরিক পরিশ্রম করা, একসঙ্গে অতিরিক্ত ধূমপান করা, নিদ্রাহীনতা, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা, হঠাৎ উত্তেজিত হওয়া বা রেগে যাওয়া, শরীরে যে কোনো ধরনের ইনফেকশন। এছাড়াও ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনে আক্রান্ত হলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। 

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াতে যা করতে হবে- যেসব কারণে রক্তনালির আবরণ ফেটে যায়, সেগুলো এড়িয়ে চলা, নিয়মিত হাঁটা, কারণ হাঁটলে হার্টে নতুন নতুন রক্তনালি তৈরি হয়, যাদের বয়স ৪০ বছর পার হয়ে গেছে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি তারা নিয়মিত অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন, রক্তে কোলস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে তা কমাতে হবে, হাইপারটেনশন কিংবা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, ধূমপায়ীদের ধূমপান বর্জন করতে হবে, তৈলাক্ত চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে, মদ্যপান ছাড়তে হবে ও দৈনন্দিন জীবনযাপন ও খাওয়া-দাওয়ার পরিবর্তন আনতে হবে। সুত্র
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url