বিশ্বসেরা দর্শকপ্রিয় যত অনুষ্ঠান
টেলিভিশন অনুষ্ঠানের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠানটির নাম হচ্ছে ‘ফ্রেন্ডস’। এটির জনপ্রিয়তা এতই বেশি যে সর্বকালের ১০০ জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠানের তালিকায় এটি শীর্ষস্থান দখল করে আছে। ছয় বন্ধুর জীবনের টানাপড়েন ও হাস্যরসের মধ্য দিয়ে এগিয়ে গেছে অনুষ্ঠানটি। ২০০৪ সালের ৬ মে এ সিরিজের শেষ পর্বটি দেখার জন্য পুরো বিশ্বে ৫২ মিলিয়ন দর্শক টিভি সেটের সামনে বসে। এর ১০ বছর আগে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানটি ১৯৯৪ সালে প্রথম সম্প্রচারিত হয়। টানা দশ বছর অনুষ্ঠানটি সমানভাবে জনপ্রিয়তা ধরে রাখে।
এইচবিও-তে প্রচারিত আরও একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান হচ্ছে ‘ব্রেকিং বেড’। ২০০৮ সাল থেকে শুরু করে ২০১৩ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি সমানভাবে জনপ্রিয়তা ধরে রাখে। এইচবিও-তে প্রচারিত এ অনুষ্ঠানটি সর্বকালের ১০০ সেরা অনুষ্ঠানের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে।
বিশ্বে খুব সম্ভবত এমন একজনও খুঁজে পাওয়া যাবে না যে ‘এক্স ফাইল’ অনুষ্ঠানটির নাম শোনেননি। ১৯৯৩ সালে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানটি ফক্স চ্যানেলে ২০০২ সাল পর্যন্ত সম্প্রচারিত হয়েছে। দুজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার বিভিন্ন রোমহর্ষক ঘটনার মধ্য দিয়ে সিরিজটি আবর্তিত হয়েছে। এ অনুষ্ঠানটি সর্বকালের ১০০ সেরা অনুষ্ঠানের তালিকায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠানটির নাম ‘গেম অব থ্রোন্স’। বর্তমানে সিরিজটির পঞ্চম সিজন চলছে। অনেকের মতে, এইচবিও চ্যানেলে প্রচারিত এ অনুষ্ঠানটি অন্যতম সেরা জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। এটির প্রতিটি পর্বের জন্য দর্শকরা মুখিয়ে থাকেন। কল্পকাহিনীনির্ভর এ অনুষ্ঠানটি সাম্রাজ্যবাদ, গুপ্তহত্যা, সম্পর্কের নানা টানাপড়েনের মধ্যে এগিয়ে চলছে। এ অনুষ্ঠানটি সর্বকালের ১০০ সেরা অনুষ্ঠানের তালিকায় চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে। ২০০৫ থেকে চলা আরও একটি অনুষ্ঠান হচ্ছে ‘ইট অলওয়েজ সানি ইন ফিলাডেলফিয়া’। যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে এ অনুষ্ঠানটি। এটিই হচ্ছে অন্যতম সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রচারিত কমেডি শো। জনপ্রিয় একটি টেলিভিশন প্রোগ্রাম হচ্ছে ‘অ্যারো’। ২০১২ সালে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এটি একটি ক্রাইমনির্ভর অনুষ্ঠান। ‘ট্রু ব্লাড’ টেলিভিশন ইতিহাসে অন্যতম একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। রক্তচোষা ভ্যাম্পেয়ার কাহিনীর ওপর নির্মিত এ অনুষ্ঠানটি এইচবিও চ্যানেলে ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রচারিত হয়।